Skip to main content

Posts

সাম্প্রতিক লেখা

এক ননসেন্সের আবির্ভাব ~ সুকুমার রায়

“কৈফিয়ৎ- যাহা আজগুবি, যাহা উদ্ভট, যাহা অসম্ভব, তাহাদের লইয়াই এই পুস্তকের কারবার। ইহা খেয়াল রসের বই। সুতরাং সে রস যাঁহারা উপভোগ করিতে পারেন না, এ পুস্তক তাহাদের জন্য নহে” উপরের লেখাটি খোদ কবিরই লেখা কৈফিয়ত, তাঁর সৃষ্ট ননসেন্স ছড়ার সংকলনের প্রথম পাতার সূচনা এইভাবেই। অবশ্য তাঁর লেখাকে তিনি ‘ননসেন্স’ আখ্যা দিলেও যারা সে রস উপভোগ করেছেন, তারা সেই ‘ননসেন্স’-এর মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন এক ‘সেন্সবল’ জগৎ, যে জগতে ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে/ আইন কানুন সর্বনেশে, যে জগতে মানহানির মোকদ্দমায় আসামী সাজিয়ে রায় দেওয়া হয় ‘তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসি’। মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমরা হয়তো ভাগ্যবান যে আমরা বাঙালী যারা বাংলা সাহিত্যের প্রেমে পড়েছি। সেটা না হলে হয়তো সুকুমার রায়ের এমন খেয়াল রসের রচনাগুলোর থেকে আজীবন বঞ্চিতই থেকে যেতাম আমরা। খুব ছোটোবেলায় মা যখন পড়ার বইয়ের পাশাপাশি বাংলা গল্পের বই পড়ানোর অভ্যেস করালেন আমাকে, তখন হাতেখড়িটা হয়েছিল দুটো বই দিয়ে। প্রথমটা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির গল্প’, আর দ্বিতীয়টা হল সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল’। অত ছেলেবেলায় রচনাগুলো গভীরভাবে ভাবার মতো অবকাশ অথবা বোধ; কোনোটাই তৈরি হ
Recent posts

ভিয়েতনাম, প্রেসিডেন্ট আর কেলেঙ্কারির গল্প (পর্ব ৬)

১৯৬৭-র ১৭ই জুন নাগাদ ডিফেন্স সেক্রেটারি রবার্ট ম্যাকনামারা নিজে ভিয়েতনাম স্টাডি টাস্ক ফোর্স তৈরি করেন যাদের মূল কাজটা ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত আমেরিকার যাবতীয় পদক্ষেপ ও তথ্য লিখে রাখা; সোজা ভাষায়, তথ্য প্রমাণ তৈরি করা। আসলে ম্যাকনামারার উদ্দেশ্যে ছিল ঐতিহাসিকদের জন্য একটা প্রামাণ্য দলিল তৈরি করা যেখান থেকে ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কাজে ভুল পলিসিগুলোর থেকে খুব সহজেই শিক্ষা নেওয়া যাবে। কিন্তু ম্যাকনামারা তখনও প্রত্যেকটা কাগজকে খুঁটিয়ে দেখে রেকর্ড করার কাজটা করছিলেন না। যদি তিনি খুঁটিয়ে প্রত্যেকটা কাগজকে পড়তেন, তাহলে হয়তো ‘পেন্টাগন পেপারস’ তৈরিই হত না। মোদ্দা কথা, ম্যাকনামারা স্রেফ ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন ডিফেন্সের যাবতীয় তথ্যে আর্কাইভ তৈরি করছিলেন আর সেখানে ছিল অসংখ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত অঙ্কের হিসেব। আর এই কাগজ সংগ্রহ করার পুরো কাজটাই করছিলেন জন ম্যাকনটন, ডিফেন্স ফর ইন্টারন্যাশানাল সিক্যিউরিটি অ্যাফের্স-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। এই ম্যাকনটনের বিশেষ সহকারী ছিলেন ড্যানিয়েল এলসবার্গ। কাজেই ‘পেন্টাগন পেপারস’-এর যাবতীয় তথ্য খুব কাছ থেকে দেখাটা ড্যানিয়েলের পক্ষে অসম্ভব কিছুই ছিল না। ১৯৬৮তে ম্য

ভিয়েতনাম, প্রেসিডেন্ট আর কেলেঙ্কারির গল্প (পর্ব ৫)

“The Post”-এর গল্প আপাতদৃষ্টিতে শিকাগো ট্রায়ালের পরপরেই মনে হলেও এর সূত্রপাত ১৯৬৬তে। আসলে এই ভিয়েতনাম যুদ্ধ, নিক্সন কেলেঙ্কারি- এইসব বিষয়ের ব্যাপারে আমাকে প্রথম যে জানাল, সে Steven Spilberg-এর “The Post”; সত্তরের দশকে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ কাগজের সম্পাদক ব্র্যাডলি (সিনেমায় যে ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন Tom Hanks) আর কাগজের মালিক ক্যাথরিন গ্রাহামের (সিনেমায় গ্রাহামের ভূমিকায় ছিলেন Meryl Streep) যৌথ উদ্যোগে মার্কিন সরকারের যাবতীয় গোপন কেলেঙ্কারির তথ্য রাতারাতি চলে এসেছিল কাগজের প্রথম পাতায়। তবে ওই যে বললাম, এই ঘটনার শুরু আসলে ১৯৬৬ সালে। আর যাকে দিয়ে শুরু, তার নাম ড্যানিয়েল এলসবার্গ; সিনেমায় যার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন Matthew Rhys। এই ড্যানিয়েল এলসবার্গ তখন চাকরি করতেন আমেরিকার র‍্যান্ড কর্পোরেশনে, একজন স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিস্ট হিসেবে। চাকরির পাশাপাশি ১৯৬২তে ড্যানিয়েল হার্ভার্ড থেকে ইকোনমিক্সে পিএইচডিও শেষ করেন। পিএইচডি-তে ড্যানিয়েলের বিষয় ছিল ডিসিশন থিয়োরির উপর যেটি এখন ‘এলসবার্গ প্যারাডক্স’ নামে পরিচিত। পিএইচডি শেষ করার পর ড্যানিয়েল ১৯৬৪তে র‍্যান্ড কর্পোরেশন ছেড়ে নিযুক্ত হন পেন্টাগনে, অর্থা

ভিয়েতনাম, প্রেসিডেন্ট আর কেলেঙ্কারির গল্প (পর্ব ৪)

১৯৬৯ সাল; ২৪শে সেপ্টেম্বর। মোট আটজন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে শুরু হল শিকাগো রায়টের ট্রায়াল। এই আটজন বিক্ষোভকারী হলেন- অ্যাবি হফম্যান, জেরি রুবিন, ডেভিড ডেলিঞ্জার, টম হেডন, রেনি ডেভিস, জন ফ্রয়নেস, লি ওয়েনার আর ববি সিল। এদের মধ্যে চার্লস গ্যারি দাঁড়িয়েছিলেন ববি সিলের হয়ে। ডিফেন্স অ্যাটর্নি হিসেবে বিক্ষোভকারীদের হয়ে দাঁড়ালেন উইলিয়াম কানস্টলার (কানস্টালারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন Mark Rylance) আর সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটসের পক্ষ থেকে লিওনার্ড ওয়েনগ্লাস, মাইকেল কেনেডী, মাইকেল টাইগার, চার্লস গ্যারি, জেরাল্ড লেফকোর্ট এবং ডেনিস রবার্ট। প্রসিকিউটার হিসেবে ছিলেন রিচার্ড শ্যুলজ আর টম ফোর‍্যান। ট্রায়ালের বিচারক ছিলেন জুলিয়াস হফম্যান। না, অ্যাবি হফম্যানের সাথে তার কোনোরকম সম্পর্ক ছিল না মোটেই। মোট ৫৩জন সাক্ষীকে মার্কিন সরকার উপস্থিত করেছিল এই ট্রায়ালের জন্য, যার মধ্যে অ্যাবি হফম্যান আর জেরি রুবিনের আন্ডারকভার পুলিশরাও ছিল সাক্ষ্যদানের জন্য। ইতিহাসের যেকোনো বিখ্যাত ট্রায়ালগুলোর মধ্যে শিকাগো ট্রায়ালও এক ঐতিহাসিক মামলা হয়ে থেকে যাবে শুধুমাত্র এর প্রত্যেকদিনকার রোমাঞ্চকর ঘটনার জন্য। ট্রায়াল শুরুর আগে

ভিয়েতনাম, প্রেসিডেন্ট আর কেলেঙ্কারির গল্প (পর্ব ৩)

২৬শে অগাস্ট, ১৯৬৮। সোমবার। শিকাগোর ইলিনয়েসের ৪২ স্ট্রিটের ইন্টারন্যাশানল অ্যাম্পিথিয়েটারে শুরু হয়েছে ১৯৬৮ ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশানাল কনভেনশন। এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের শাসকদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের আগামী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন দেবে। সাথে ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হবে এই সম্মেলনে। সম্মেলনে উপস্থিত প্রত্যেকেই জানেন যে তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতেই প্রায় ১০,০০০ লোক আজ শিকাগোতে জড়ো হয়েছে। এখন শুধু বারুদে আগুন লাগার অপেক্ষা। তবে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হল না শিকাগোবাসীদের। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিক্ষোভকারীরা একে একে জড়ো হতে শুরু করেছিল শিকাগোর গ্র্যান্ট পার্কে। এরপর সম্মেলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষন্মপরেই হঠাৎই কিছু বিক্ষোভকারী পার্কে বসানো জেনারেল লোগানের মূর্তির উপর উঠে বিক্ষোভ জানাতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিকাগো পুলিশ বিভাগের ঘোড়সওয়ার বাহিনী পাল্টা লাঠি চার্জ করতে শুরু করে পার্কের প্রত্যেক বিক্ষোভকারীদের উপর। পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও একমাত্র ‘দ্য মব’-দের ২৮ অগাস্ট গ্র্যান্ট

ভিয়েতনাম, প্রেসিডেন্ট আর কেলেঙ্কারির গল্প (পর্ব ২)

১৯৬৭-র ১৫ই এপ্রিল নাগাদ সেন্ট্রাল পার্ক থেকে ইউনাইটেড নেশন অব্দি এক বিরাট মিছিল বের করে ‘দ্য মব’; ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে যেখানে হাজার হাজার প্রতিবাদীদের সাথে মিছিলে হেঁটেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, হ্যারি বেলাফন্ট, জেমস বেভেল, ডঃ বেঞ্জামিন স্পকের মতো মানুষরাও। সেই বছরেরই শেষের দিকে এই কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড ডেলিঞ্জার (“The Trial of Chicago 7”- এই চরিত্রে ছিলেন John Carroll Lynch) সিদ্ধান্ত নেন যে সামনের বছর অর্থাৎ ১৯৬৮-র শিকাগোতে যে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশানাল কনভেনশন হবে, সেখানে সম্মেলনের কাছাকাছি অংশে যুদ্ধ-বিরোধী এক মুক্তমঞ্চ তৈরি করতে হবে, যাতে তাদের প্রতিবাদটা সরাসরি সরকার থেকে জনগণ, পাশাপাশি গোটা বিশ্বের সামনে লাইভ টেলিকাস্ট হয়। ১৯৬৮র প্রথম দিকে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে টেট অফেন্সিভের পরে মার্কিনবাসী ফেব্রুয়ারিতে সংবাদমাধ্যমে শুনল যে ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের পরাজয় ঘটেছে। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জনসন তার নমিনেশনের জন্য ক্যাম্পেইন বন্ধ করে দেন। ফলে ‘দ্য স্প্রিং কমিটি’-র কাছে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার আরো রসদ এসে জমা হতে লাগল ধীরে ধীরে। এরপর শিকাগোয় প্রতিবাদী মঞ্চ গড়ে ত

ভিয়েতনাম, প্রেসিডেন্ট আর কেলেঙ্কারির গল্প (পর্ব ১)

Courtroom drama আর political drama, বিশেষ করে journalism based সিনেমা যাদের পছন্দের, তাদের আশা করি “The Trial of Chicago 7”, “The Post” আর “All the President’s Men” এই তিনটে সিনেমার নাম জানা আছে। তবে একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে এই তিনটে সিনেমারই বিষয়বস্তু আর সময়কাল এক না হলেও মোটামুটিভাবে এরা একই ধারাবাহিকসূত্রে গাঁথা বললে ভুল কিছু বলা হবে না। কারণ যে ঘটনার সূত্রপাত “The Trial of Chicago 7” সিনেমা থেকে শুরু হচ্ছে, সেটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত, ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে কিছু গোপন দলিল ফাঁস হয়ে যাওয়া, কুখ্যাত ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’ আর একজন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে বৃত্তটা সম্পূর্ণ করে “All the President’s Men” সিনেমাটা দিয়ে। এই তিনটে সিনেমার timeline-টা মো টামুটিভাবে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আসলে এই সিনেমা তিনটে তিনরকম message তুলে দেয় দর্শকের কাছে, যে কারণে এগুলোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আর তার মধ্যে থাকা মূল কথাটা আলোচনা করার জন্যেই এই লেখার সূত্রপাত। সময়কাল আর শুরুর কথা দিয়ে শুরু করতে গেলে এদের মধ্যে প্রথমেই রাখতে হবে “The Trial of Chicago 7”-কে। ২০২০ সালে কোভিড সময়কালে নে

সারা চ্যাপম্যান ও দেশলাই বাক্সের গল্প ~ The Matchgirl's Strike 1888

৮ই মার্চ, আবারও একবার গোটা দুনিয়া জুড়ে সমারোহে পালিত হল আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারীদিবস। তবে বিশেষ করে ৮ই মার্চেই কেন নারীদিবস পালিত হয়; তার ইতিহাস ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না আজকে। সে কথা অন্য সময় বলা যাবে। তার চেয়ে বরং আজ আপনাদের একজনের গল্প বলি, যার প্রতিবাদের ভাষার সাথে জড়িয়ে আছে দেশলাই কাঠির প্রস্তুতি। শুনতে একটু অদ্ভুত লাগছে? তাহলে শুনুন...... সভ্য সমাজে দেশলাই কাঠি যেন এক দ্বৈতরূপ বহন করে আনে। আকারে ছোটো এবং পলকা হলেও এক নিমেষে অনেক খান্ডবদাহন ঘটাতে পারে সামান্য একটা কাঠি। দেশলাই কাঠির ইতিহাস বৃত্তান্ত না করে আমরা বরং সোজা চলে যাই ১৯ শতকের শেষ দিকের ব্রিটেনে। এই সময়ে গোটা ব্রিটেন জুড়ে পপলার কিংবা কানাডিয়ান পাইন কাঠের যে দেশলাই তৈরি হত, তাতে বারুদের মশলা হিসেবে মূলত মেশানো হত সাদা ফসফরাস (যাকে হলুদ ফসফরাসও বলা হয়ে থাকে), পটাশিয়াম ক্লোরেট আর অ্যান্টিমনি সালফাইড। আর বারুদের এই মশলা মেশানোর আগে দেশলাইয়ের কাঠিগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ভিজিয়ে রাখা হত তরল সালফারের মধ্যে। এই গল্পের সূত্রপাত 'ব্রায়ান্ট এন্ড মে' নামের এক দেশলাই প্রস্তুতকারক কোম্পানির থেকে। ১৮৪৩এ উইলিয়াম ব্রায়ান্ট এবং ফ্রান্সিস মে

'বাংলার গ্রেস'- সারদারঞ্জন রায়।

তাকে বলা হত বাংলার ক্রিকেটের জনক। আর সেই কারণেই সারাজীবন 'বাংলার গ্রেস' হিসেবেই বাঙালির কাছে পরিচিতি পেয়ে এসেছিলেন সারদারঞ্জন রায়; বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর দাদা। অবিভক্ত বাংলার কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে কটিয়াদি উপজেলার মশুয়া গ্রামে রায় পরিবারের মধ্যে এ হেন ক্রিকেট নিয়ে মেতে ওঠা সারদারঞ্জন যে এককালে বাঙালীর ক্রিকেটে এমন কেউকেটা হয়ে উঠবেন, কে জানত! সারদারঞ্জনের বাল্যজীবনে শিক্ষা শুরু ময়মনসিংহের মাইনর জেলা স্কুলে। তারপর সেখান থেকে ঢাকা হাই স্কুল ও পরে ঢাকা কলেজে।   যে সময়ের কথা বলছি, কোলকাতা ছিল তখন ব্রিটিশদের রাজধানী। কোলকাতার গড়ের মাঠে তখন সাহেবদের চুটিয়ে ক্রিকেট খেলা চলছে সকাল বিকেল। বাঙালীরা অবশ্য তখনও ক্রিকেটের সাথে প্রায় পরিচিত নয় বললেই চলে। যদিও ততদিনে ইন্দোর, পাটিয়ালা, রাজপুতানার মহারাজাদের কাছে ক্রিকেট বিনোদনের অন্যতম অঙ্গ। আর কোলকাতার পাশপাশি ঢাকা শহরেও তখন লেগেছে সাহেবিয়ানার ছোঁয়া। কলেজের অবসরে ক্রিকেট খেলা দেখতে ঢাকার সদর গ্রাউন্ডে প্রায়ই চলে আসতেন সারদারঞ্জন। ছোটো থেকেই গ্রামের জল হাওয়ায় বেড়ে উঠেছিলেন বলেই হয়তো তার মনটা ছিল উন্মাদনায় ভরপুর। তার উপর

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস দিবস- ৮ই মে।

  বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই চিহ্নটার সাথে প্রায় দৈনিকভাবে পরিচিত হয়ে পড়েছি। ওষুধের দোকান থেকে হাসপাতাল, টিভির চ্যানেল থেকে অ্যাম্বুলেন্স- সর্বত্রই দেখা যায় একে। সামান্য একটা লাল ক্রস চিহ্ন। কিন্তু সকলের কাছে সে জীবনের ইঙ্গিত। আর আজ ৮ই মে তারই দিন- বিশ্ব রেড ক্রস দিবস। রেড ক্রসের জন্ম আজ থেকে বহুবছর আগে, ১৮৫৯তে, যার জন্মের প্রেক্ষাপটে রয়েছেন হেনরী ডুনাট। জন্মসূত্রে স্যুইস হলেও থাকতেন ইটালির সোলফেরিনোতে। সে বছর ইটালির সোলফেরিনোতে চলছে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ; অস্ট্রিয়ার সম্রাটের বিরুদ্ধে ফ্রান্স-সার্ডিনিয়ান মিত্রজোটের যুদ্ধ। ক্ষয়ক্ষতি হিসেবে প্রায় ৪০,০০০এর উপর সৈনিক তখন শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই আহত হয়েছে, তাঁর মধ্যে বহু সৈনিক মৃত। অথচ সৈন্যবাহিনীর নিজেদের কোনো সঠিক মেডিক্যাল টিম নেই যারা আহত সৈনিকদের সামান্য ফার্স্টএড-টুকু করতে পারবে; চিকিৎসার কথা দূরঅস্ত। সৈন্যদের এরকম দুর্দশা দেখে নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে এলেন ডুনাট। ডুনাটের পরিকল্পনা মেনে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি হল যারা আহত সৈনিকদের চিকিৎসা থেকে সেবা শুশ্রূষা এমনকি খাওয়া-দাওয়ার অব্দি ব্যাবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীকালে এই অসাধারণ কাজের জন্য বিভিন্